ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিশ্বব্যাপী সফলতা অর্জন করেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিশ্বব্যাপী সফলতা অর্জন করেছে

বেনাপোল (যশোর): সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এখন বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপৃর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক গোয়েন্দা ও অডিট) ও জাতীয় চোরাচালান নিরোধ ট্রাস্কফোর্সের আহ্বায়ক সুলতান মোহম্মদ ইকবাল।

সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে বেনাপোল কাস্টমস অডিটোরিয়ামে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

সুলতান মোহম্মদ ইকবাল বলেন, যে কোনো কাজ সম্বিলিতভাবে করলে তা যেমন দ্রুত হয়, তেমনি তার পূর্ণতাও আসে। সীমান্তে অনেক সংস্থা কাজ করে। বাংলাদেশ কাস্টমস ছাড়াও রয়েছে বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, উদ্ভিদ সংঘনিরোধ বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানিও রফতানিকারক, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রেলওয়েসহ নানা সংস্থা। পণ্য খালাসকরণে এসব সংস্থা নিয়মিত তদারকি এবং কাজ করে চলেছে। এসব সংস্থা যদি একে অপরের সঙ্গে নিজ নিজ কাজ সমন্বিতভাবে করে তবে বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যসমাধা করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, আজ বিশ্ব জুড়ে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এর কথা উচ্চারিত হচ্ছে। বাংলাদেশ কাস্টমস এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত ও গুণগত সেবা প্রদান ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড নামে একটি উন্নত অটোমেশন চালু করেছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, বেনাপোল, মংলা ও আইসিডি কাস্টমস হাউজে। অন্য কাস্টমস স্টেশন এর আওতায় আনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থাকে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। এটি হলো ব্যাংক, বীমা, বন্দর, সরকারি অন্যান্য সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সব পক্ষকে এই ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করা হবে এবং তখন ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের পণ্য খালাসে সময় ও ব্যয়ও কমে যাবে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মাহাবুবুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান শেখ মোহম্মদ শহীদুল ইসলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, আমদানি-রফতানিকারক, চেম্বার অব কমার্স, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ। এ সময় কাস্টম’স বিভিন্ন কার্যক্রম প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। সেমিনারে ৪০জন আমদানি-রফতানিকারক ও ২২ জন সিএন্ডএফ এজেন্টকে সস্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ দিনে বিশ্বের ১৭৮টি দেশের সঙ্গে ‘দি ওয়াল্ড কাস্টমস ওরগানাইজেশন কর্তৃক সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ কাস্টমস দিবসটি পালন করে। এ উপলক্ষে বেনাপোল কাস্টম হাউসকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।