ধামরাই (ঢাকা): ধামরাইয়ে ফার্ণিচার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেছে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) থানায় এ অভিযোগ দেন ছাত্রী নিজেই।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সুয়াপুর-নান্নার উচ্চ বিদ্যালয়ের ডিসপ্লে দলের সদস্য ও সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্রী গত শুক্রবার বিকালে বিদ্যালয়ের ডিসপ্লে শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রভাত কুমারের বাড়ির কাছ থেকে ফার্নিচার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে হঠাৎ মুখ বেঁধে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে একটি বাড়িতে তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে তিনদিন রেখে ধর্ষণ করে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী কৌশলে হাত-পায়ের বাধন খুলে পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে অপরহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা তার মা-বাবাকে জানায়। মেয়েটির বাবা পেশায় ভ্যান চালক।
মেয়েটি জানায়, সাইফুল ইসলাম তার বাবা-মার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতো। এ সুযোগে তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কু-প্রস্তাবের কথা কাউকে জানালে তাকে ও তার বাবা-মাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেওয়ায় কাউকে কিছু বলতেও পারিনি।
মেয়েটি জানায়, শুক্রবার কোথায় নিয়ে গিয়েছিল তা সে বলতে পারেনি। তবে একটি পাকা ভবনে রেখে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়।
বিদ্যালয়ে গত শনিবার ছিল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ওই প্রতিযোগিতায় ডিসপ্লে দেখানোর জন্য শুক্রবার দিন ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যেতে হয়েছিল।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, ধর্ষককে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫
.png)
