বেনাপোল (যশোর): ভারতের কলকাতা মিশনারিজ অব চ্যারেটি শান্তিদান নামে একটি স্বেচ্ছা সেবক প্রতিষ্টানের আশ্রয়ে থাকা বাংলাদেশি ৫ নারী আইনি জটিলতায় নিজ দেশে ফিরতে না পেরে অবশেষে ফেরত গেল পেট্রাপোল চেকপোস্ট থেকে।
মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারীরা গত ১০ বছর ধরে এই স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের আশ্রয়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ওই ৫ নারীকে পেট্রাপোল চেকপোস্টে আনা হয়েছিলো।
তারা হলেন- জামালপুর জেলার আফজাল খানের মেয়ে কাজল বিবি, খুলনার ইউছুফ আলীর মেয়ে জামিলা খাতুন,সতিশ চন্দ্রের মেয়ে আরজিনা শাহা, রশিক লাল পালের মেয়ে সাথিয়া পাল, ও গোপালগঞ্জের দিনোবন্ধুর মেয়ে শিলা রানী।
এছাড়া আরো নিজে দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় সেখানে রয়েছেন, লালমনিরহাট জেলার নরেন্দ্র নাথ রয়ের ছেলে নান্দা দুলাল রয়, খুলনার আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে সেলিনা আক্তার, কুড়িগ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে সামিদুল ইসলাম ও সামিদুল ইসলামের মেয়ে সাবানা ।
সংস্থাটি সুত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে কলকাতা শহরের রাস্তায় এসব ছেলে, মেয়েদের মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবে পড়ে থাকতে দেখে কলকাতা মিশনারিজ অব চ্যারেটি শান্তিদান নামে স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্টানের সদস্যরা। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তাদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে। পরে তাদের কাছ থেকে ঠিকানা জেনে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগযোগ করে স্বদেশ ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোষ্টে ৫ নারীকে ফেরত পাঠানোর জন্য নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কিছু কাগজপত্রের জটিলতার কারণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়ায় দিনভর অপেক্ষার পর তাদের সন্ধ্যায় ফিরে যেতে হয়।
শার্শা উপজেলায় শাখার কর্মরত বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫