গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): ‘এ অবরোধ-হরতালে আমাগো যে কি কষ্ট অইছে তা শুদু আল্লায় জানে। ঘাটে যাত্রী কম থাকোনে ঠিক মত ভিক্ষা জোটে না।
শুক্রবার সকালে এসব কথা বলছিলেন রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের ভিক্ষুক বদরউদ্দিন, আয়নাল, জাকেরসহ অনেকেই।
তারা বলেন, ‘খাওনের অবাবে কইলজাডা খালি হুকায় আহে। এক বেলা খাই, বাকি দুই বেলাই না খাইয়া দিন কাটে। তয় যেনারা এগুলান দেয়, হেই নেতাগো ঘরে খাওনের কুনো অবাব নাই। মরণ খালি আমাগো। ’
প্রতিদিনই এভাবে কাটছে ঘাটের আশপাশে এবং ঘাটে ভেড়া ও ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন নৌযানে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করা ভিক্ষুক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের।
জানা যায়, ৮/১০ জন ভিক্ষুক প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট, ফেরি ঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় বসে যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত ভিক্ষা করেন। এদের কারো পা নেই, কারো হাত নেই আবার কারো চলাফেরার শক্তি নেই। সারাদিন ভিক্ষা করে যে সামান্য টাকা আয় হয় তাতে খেয়ে না খেয়ে চলে তাদের সংসার।
২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রী স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তবুও পেটের ক্ষুধা মেটাতে তারা প্রতিদিনের মতো ভিক্ষা করতে ছুটে আসেন ঘাটে। কিন্তু আগের মতো আর ভিক্ষা জোটে না। এতে করে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনানিপাত করতে হচ্ছে তাদের।
দৌলতদিয়া ঘাটের ভিক্ষুক বদরউদ্দিন (৬৫) বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ আমাগো প্যাটে লাথি মারে। তাই আমাগো না খায়া থাহনের এ আন্দোলন আর কইরেন না। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫