কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও স্থানীয়দের যৌথ অভিযানে দুর্ঘটনার এক দিন পর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই ৭ মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়।
কুতুবদিয়া কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার তারেক মোস্তফা এ তথ্য জানান। তবে এর আগে কোস্টগার্ড জানিয়েছিল ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে তারা।
এদিকে পুলিশ বলছে, এখনো ট্রলারটির ১৫/২০ যাত্রী নিখোঁজ আছেন। তবে কোস্টগার্ড বলছে, নিখোঁজের সংখ্যা অন্তত ৫০ জন।
কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, কোস্টগার্ডের উদ্ধার যান তানভীর ও তৌহিদ এবং নৌবাহিনীর উদ্ধার যান অতন্দ্র ও অপরাজেয় জাহাজসহ কোস্টগার্ডের আরো ২টি হাইস্পিড বোট মেটাল শার্ক উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে।
এছাড়াও শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে স্থানীয় দুটি ফিশিং ট্রলার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুতুবদিয়া চ্যানেলের খোদাইবাড়ি পয়েন্টে দেড়শ’ যাত্রী নিয়ে এফভি ইদ্রিস নামে ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। সন্ধ্যা নাগাদ ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ ৪২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
রাতে বিরতি দিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে শুক্রবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও স্থানীয় জেলেরা।
এদিকে এ ঘটনায় ১১ দালালের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে কুতুবদিয়ায় থানায় এ মামলা করে।
পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৬ জনকে দালাল হিসেবে চিহ্নিত করে বাকি ৩৬ জনকে কুতুবদিয়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কুতুবুদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংসা থোয়াই ও চট্টগ্রাম পূর্ব জোন কোস্টগার্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম. রাজিবুল ইসলাম অভিযানের খবর নিশ্চিত করেন।
** মৃতদেহ নেওয়া হচ্ছে কুতুবদিয়ায়
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫/ আপডেট:১৫৩৬ ঘণ্টা