ভোলা: মেঘনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মেলেনি ভোলার তজুমদ্দিনের হতভাগ্য ৬ জেলের। এতে নিখোঁজদের পরিবারে চলছে কান্না-আহাজারি।
নিখোঁজ হওয়া জেলেরা হলেন- শরীফ মাঝি (৪০), হাসান (১৮), রাজিব (২৫), সিরাজ (১৭), আলাউদ্দিন (১৫) ও হৃদয় (১২)। এদের বাড়ি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাজী কান্দি গ্রামে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ৬ জেলে নিয়ে মেঘনার সোনার চর সংলগ্ন এলাকায় জেলে ট্রলারটি ডুবে যায়।
শুক্রবার দুপুরে অন্য জেলেরা দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি উদ্ধার করে। তবে, কোনো জেলেকে উদ্ধার করতে পারেনি। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে পুলিশ ও কোস্টগার্ড তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জেলে ও নিখোঁজদের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে শাজাহান মাঝির ট্রলার নিয়ে ৬ জেলে মেঘনায় মাছ ধরছিলেন। রাত ১০/১১টার দিকে হঠাৎ নদীতে ঝড় ওঠে। ওই ঝড়ের কবলে পড়ে জেলেদের ট্রলার উল্টে ৬ জেলে নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল পর্যন্ত এসব জেলের সন্ধান মেলেনি।
শশীগঞ্জ স্লুইচ ঘাটের জেলে ফরিদ মাঝি, জাকির মাঝি ও ইলিয়াছ মাঝি জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে প্রচণ্ড বাতাস হয়েছে। ঝড় হয়েছে, তবে কি কারণে ট্রলারটি ডুবেছে তা বলা যাচ্ছে না।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে। শুক্রবার রাতভর অভিযান শেষে শনিবার সকালেও উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও কারো সন্ধান মেলেনি।
তিনি বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্বারে মনপুরাসহ অন্য থানার সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের অপারেশন অফিসার লে. মো. খালিদ বাংলানিউজকে জানান, জেলে ট্রলারটি ঝড়ে নাকি অন্য কারণে ডুবেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিখোঁজ উদ্ধারে কোস্টগার্ড নদীতে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫