ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৪র্থ দিনের মতো খুলনার ৮ পাটকলের উৎপাদন বন্ধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৮
৪র্থ দিনের মতো খুলনার ৮ পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করছেন পাটকলের শ্রমিকরা। ছবি: মানজারুল ইসলাম

খুলনা: বকেয়া মজুরিসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৮ পাটকলের শ্রমিকদের চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এসব পাটকলের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের মধ্যে ৮টিরই উৎপাদনের চাকা ঘুরছে না।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, পাটকলগুলোতে শ্রমিকের ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে শ্রমিকরা ধারাবাহিক আন্দোলন করলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়নি। রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করছেন পাটকলের শ্রমিকরা।  ছবি: মানজারুল ইসলামবৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। এ সময় দফায় দফায় মিছিল ও মিল গেটের সামনের সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়।

তারা আরও জানান,  বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় ৮ সপ্তাহের মজুরির দাবিতে প্লাটিনাম জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। পরবর্তীতে সকাল ১০টায় একে একে ক্রিসেন্ট, দৌলতপুর ও স্টার জুট মিলের শ্রমিকরা তাদের মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। এ চারটি মিল বন্ধের সংবাদ পেয়ে দুপুর ২টার দিকে আটরা-গিলাতলা শিল্পাঞ্চলের ইস্টার্ণ এবং যশোর অভয়নগরের জে জে আই জুট মিলের উৎপান বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আলীম জুট মিলের শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। আর শনিবার খালিশপুর জুট মিলের শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।

পাটকলগুলোর সূত্র জানায়, খুলনা অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলের মধ্যে ক্রিসেন্ট জুট মিলে প্রায় ৫ হাজার, প্লাটিনামে সাড়ে ৪ হাজার, স্টারে সাড়ে ৪ হাজার, দৌলতপুর জুট মিলে সাড়ে ৬শ, ইস্টার্নে ২ হাজার, আলীমে দেড় হাজার এবং জে জে আই জুট মিলে ২ হাজার ৬শ এবং খালিশপুর জুট মিলে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক রয়েছেন। এসব পাটকলের শ্রমিকদের চার থেকে ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। এসব মিলে শ্রমিকদের বকেয়া রয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।

স্টার জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মো. বেল্লাল হোসেন মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, ‌'চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকালে স্ব-স্ব মিল গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। ২ জানুয়ারির মধ্যে দাবি না মানা হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম জোনের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবো। সে কর্মসূচি কঠিন হতে পারে। '

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা,  জানুয়ারি ০১ , ২০১৮
এমআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।