ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রচারণায় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন কাদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
প্রচারণায় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন কাদের প্রচারণায় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন কাদের-ছবি: বাংলানিউজ

নোয়াখালী: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের শেষ নির্বাচনী পথসভার জনসমুদ্রে সারাদেশের দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন।

কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সারাদেশের সকল নেতাকর্মীর প্রতি তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের মতো একটি বৃহত্তম দল পরিচালনার ক্ষেত্রে তার যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে। আচার-আচারণ, কথা-বার্তা ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলের নেতাকর্মীরা যদি কোনো ধরনের কষ্ট পেয়ে থাকেন, তার জন্য মন্ত্রী বিনীতভাবে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইলেন।

তিনি বলেন, ক্ষমা একটি মহৎ ও সুন্দরের সর্বাপেক্ষা উদাহরণ।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাদের তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের কবিরহাট পৌরসভার জিরোপয়েন্টে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের অংশ হিসেবে শেষ নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্যের একপর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে এ ক্ষমার অনুরোধ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতির মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষ নিয়ে যেমন অনেক অপ্রিয় সত্য কথা বলতে হয়, তেমনি জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ঊনসত্তর বছরের পুরোনো একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনায় দলের ঐক্য ধরে রাখতে অনেক সময় তাকে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিজ ইচ্ছার বাহিরেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে নেতৃত্বের সমন্বয় ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রূঢ় আচারণ করেছেন।

এতে সারাদেশের যেসকল নেতাকর্মী মনোকষ্ট পেয়েছেন বা অভিমান করে দূরে আছেন। তাদের কাছে আবেগাপ্লুত হয়ে তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে পুনরায় বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধের পরই প্রায় প্রতিদিনই নিজ নির্বাচনী গণসংযোগ করে আসছিলেন ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটানা সাতদিন নিজ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন।

২০০৮ এর নবম ও ২০১৪ এর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ভিআইপি খ্যাত নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট)আসনে টানা দুইবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেওয়ার আশাব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৩ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।