ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই মুন্সিগঞ্জে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই মুন্সিগঞ্জে

মুন্সিগঞ্জ: রোববার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে পুরো মুন্সিগঞ্জ। ভোটাধিকার প্রয়োগ এর জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। 

মুন্সিগঞ্জ জেলায় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আনিসুর রহমান।  

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জে মোট ভোটার ১১ লাখ ৬৩ হাজার ১৮১ জন।

মুন্সিগঞ্জ ১ আসনে (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) ভোটকেন্দ্র-১৬৭টি, মুন্সিগঞ্জ ২ আসনে (টংগিবাড়ী-লৌহজং) ১২৮টি, মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনে (মুন্সিগঞ্জ সদর-গজারিয়া) ১৬৬টি। তিনটি আসনে মোট ভোটকেন্দ্র আছে ৪৬১টি।

বাংলানিউজকে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, মুন্সিগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই। তবে কিছু কেন্দ্র আছে গুরুত্বপূর্ণ। সেসব কেন্দ্রে ২ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার থাকবে এবং সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য মোবাইল, স্ট্যান্ড পার্টিকে রাখা হয়েছে।  
নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিস্তারিত এখন বলা যাবে না বলে জানান তিনি।  

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণার পর থেকেই জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করছে। যার কারণে শিডিউল ঘোষণার পর থেকে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বরং এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী, নাশকতাকারী আইনের আওতায় এসেছে। বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব ভালো আছে। কোনো ধরনের আশঙ্কা করা হচ্ছে না।  

এছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরো বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে, সেদিন পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেক ইউনিয়নে মোবাইল টিম থাকবে, থানায় থানায় স্ট্রাইকিং র‍্যাব থাকবে। এবং আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন জেলা পুলিশের অধীনে কাজ করবে। যা মোতায়েন করা হয়েছে।  

নারীদের জন্য ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাদের আসা যাওয়ার পথে যাতে কেউ কোনো রকম হয়রানি করতে না পারে তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উওরে তিনি বলেন, নির্বাচকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি আসেনি।  


তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা ঘটলে সর্বপ্রথম পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করবে। পুলিশ যদি না পারে তাহলে র‍্যাব বা বিজিবিকে আনা হবে। আশাকরি এরমধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে। এরপরেও যদি "আউট অফ কন্ট্রোল" হয়ে পড়ে তাহলে রির্টানিং অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে সেনা নামানো হবে। তবে গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মুন্সিগঞ্জে সেইরকম পরিস্থিতি হবে না। জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ১৫০০ এর বেশি পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।