ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২০
পুলিশ মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: পুলিশ বাহিনী দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (০৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২০’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে পুলিশের মাঝে গুণগত বিরাট পরিবর্তন এসেছে।

মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’

‘সবচেয়ে বড় কথা জনগণের যে আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করা- এটা পুলিশ বাহিনী আজকে করেছে। ৯৯৯ নম্বরের ফোন করলে যেকোনো সমস্যায় পুলিশ ছুটে যায় এবং তাদের সে সমস্যা সমাধান করে। ’

পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশকে আরও জনমুখী হওয়ার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জনের মধ্য দিয়ে যেকোনো ধরনের অপরাধ দমন করা সহজ এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনারা কাজ করবেন সেটাই আমি আশা করি। আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী জনবান্ধব হবে। ’

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক যাতে সৃষ্টি হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ’

‘একদিকে যেমন জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, অপর দিকে সড়কে নিরাপত্তা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী যথেষ্ট সুশৃঙ্খল ভূমিকা রাখছে। ’

পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি কাজে আমাদের পুলিশ বাহিনী বিশেষ করে আমাদের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুলিশ বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রেখেছে। তাদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখেছি। ’

বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর ২৯ জন সদস্যকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ’

পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা আর্থিক ব্যয় হিসেবে নিই না। আমরা মনে করি জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে এটা আমাদের এক ধরনের বিনিয়োগ। ’

সম্প্রতি স্বচ্ছতার সঙ্গে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি মনে করি আপনারা একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ’

পুলিশ সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সাহসিকতা ও সেবা এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্তদের পদক পড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।