বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করা হয়। পরে শ্রমিকদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কালাইরাগ কোয়ারি এলাকায় পাথর উত্তোলনে অন্তত এক হাজার ২শ’ শ্রমিক নিয়োজিত। শ্রমিকরা কোয়ারি এলাকার আশপাশে ৫৫টি তাবু টানিয়ে থাকতেন। এদিন সেসব তাবু গুঁড়িয়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা সহায়তা করে।
সুমন আচার্য আরও বলেন, আজ শুধু কালাইরাগ এলাকায় কোয়ারি শ্রমিক শূন্য করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ক’টি কোয়ারি শ্রমিক শূন্য করা হবে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি কোয়ারি এলাকা থেকে শ্রমিকদের বিতাড়ন করার দাবি করেছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজল কুমার কানু।
এদিকে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও টাস্কফোর্সের অভিযানের ভয়ে দিনের বেলা কোয়ারিতে অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকে। ফলে কোয়ারি মালিকরা বিকল্প পন্থায় রাতের আধারে শ্রমিক লাগিয়ে পাথর উত্তোলন করেন। যে কারণে কোয়ারি ধসে শ্রমিক মৃত্যু থেমে নেই। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) কোয়ারি ধসে মারা যান রুবেল আহমদ (২৬) নামের এক শ্রমিক। এ ঘটনার পর টনক নড়ে প্রশাসনের। শ্রমিক মৃত্যু ঠেকাতে পাথর কোয়ারিতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিলেটের ৭টি পাথর কোয়ারিতে অন্তত ৭৮ পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু শাহ আরফিন টিলায় মারা গেছে অন্তত ৩০ জন, জাফলংয়ে ২১ জন, ভোলাগঞ্জে ১৩ জন, বিছনাকান্দিতে ৫ জন, লোভাছড়ায় ৮ জন এবং উৎমা ছড়া কোয়ারিতে এক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত অর্ধশত শ্রমিক আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এনইউ/এইচএডি/