এরা বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পাচার করতো বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বরিশাল শহরের পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার কাঞ্চন আলীর ছেলে আলামিন (২১), বাগেরহাট জেলার মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার মো. হারুন হাওলাদারের ছেলে ইউনুস হাওলাদার (২৯) ও খুলনা জেলার ফুলতলার দামুদার এলাকার মৃত আহম্মদ দপ্তরির ছেলে রবিউল (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের কাছে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার অভিযোগ আসে। ধারাবাহিকতায় গত ২২ জানুয়ারি শহরের পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা লাবু খান তার ইয়ামাহা কোম্পানির এফজেড ভার্সন-৫ মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে থানা পুলিশে অবহিত করেন।
অভিযোগ সূত্রে আমরা জানতে পারি, লাবুর মোটরসাইকেলটি গত ২১ জানুয়ারি দিনগত রাতের কোনো এক সময় তার বাসার গেটের তালা কেটে চোর চক্র নিয়ে যায়। ক্লু-লেস এসব চুরির ঘটনার তথ্য একত্র করে বরিশাল মহানগর পুলিশের এডিসি (উত্তর) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের তত্ত্বাবধানে কাউনিয়া থানার সহকারী কমিশনার মো. আব্দুল হালিম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম, পরিদর্শক হিরন্ময়, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসীম উদ্দিন, শম্ভুসহ বেশ কয়েকজন সদস্যের নেতৃত্বে কয়েকটি টিমকে গোপনে অভিযানে নামানো হয়।
পরে একটি ছোট ক্লু উদঘাটন করে তার সূত্র ধরে বরিশাল শহর থেকে আলামিনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বুধবার দিনগত রাতে বরিশাল ও খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ইউনুস এবং চক্রের মূলহোতা রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি লাবু খানের খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেলটিও তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন থানায় থাকা মামলার সূত্র ধরে জানা গেছে, আনুমানিক ২০১৫ সাল থেকে রবিউল ও তার লোকজন এ কাজের সঙ্গে জড়িত। এ চক্রের বাকি সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যে কারণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি বাকিদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আরও কিছু চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এডিসি (উত্তর) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে আলামিন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া মূলহোতা রবিউলসহ দু’জন আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন তথ্য ও ক্লু দিয়েছেন। যার সূত্র ধরে বোঝা যায়, বেশ কয়েকটি হাত বদল হয়ে বরিশাল থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলগুলো বিভিন্ন পথে গোপালগঞ্জ হয়ে সরাসরি খুলনাতে চলে যেত। সেখানে তারা এগুলো কম দামে বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করতো। আর পুরো প্রক্রিয়ায় ছয়-সাতজনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এমএস/আরবি/