বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘করোনা ভাইরাসে প্রতিকার ও করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন সাঈদ খোকন।
দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, কিন্তু এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক আমরা তা চাই না। এ জন্য আগে থেকেই আমাদের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতনতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যাতে এ সমস্ত বালা মুছিবত থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করেন। ’
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধের বিষয়ে জোর দিতে হবে। কারণ, প্রতিরোধই প্রতিকার। আমরা যদি প্রতিরোধে মনোযোগ দিই তাহলে প্রতিকারের জন্য বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে না। প্রতিকারের চেয়ে এ রোগের প্রতিরোধ অতি গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই আমাদের সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। বন্দরগুলোতে স্ক্যানার বসানো হয়েছে যাতে এ রোগ বহনকারী কেউ দেশে প্রবেশ করতে না পারে।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা, অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক প্রমুখ বক্তৃতা রাখেন। বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এসএইচএস/এইচজে