ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

করোনা’র আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে নারাজ খোকন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
করোনা’র আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে নারাজ খোকন

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে সংক্রমণেত্র আশঙ্কা বিনা বাক্যে উড়িয়ে দিতে নারাজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। তার মতে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এ ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকা উচিত। 
 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘করোনা ভাইরাসে প্রতিকার ও  করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন সাঈদ খোকন।  

দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।

আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় যা কিছু ব্যবহার করছি এর অনেক কিছুই চায়নার। ৯০ শতাংশের বেশি চায়নার জিনিসপত্র ব্যবহার করি আমরা। এমনকি বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট পদ্মা সেতু, সেটাও চীনারা তৈরি করছে। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি। সেই তুলনায় ঢাকা কিংবা বাংলাদেশ এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। তবে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ বাস্তবতায় আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো মেনে করোনা মোকাবেলা করতে হবে।
 
বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, কিন্তু এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক আমরা তা চাই না। এ জন্য আগে থেকেই আমাদের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতনতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যাতে এ সমস্ত বালা মুছিবত থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করেন। ’
 
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধের বিষয়ে জোর দিতে হবে। কারণ, প্রতিরোধই প্রতিকার। আমরা যদি প্রতিরোধে মনোযোগ দিই তাহলে প্রতিকারের জন্য বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে না। প্রতিকারের চেয়ে এ রোগের প্রতিরোধ অতি গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যেই আমাদের সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। বন্দরগুলোতে স্ক্যানার বসানো হয়েছে যাতে এ রোগ বহনকারী কেউ দেশে প্রবেশ করতে না পারে।  
 
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা, অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক প্রমুখ বক্তৃতা রাখেন। বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এসএইচএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।