বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র বলছে, সম্প্রতি দোহায় অনুষ্ঠিত কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে কর্মী নিয়োগে কোটা বাড়ানো এবং কর্মীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা।
সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্ঠিত হবে, সে কারণে সেখানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই বিশ্বকাপের আগে কাতারের বিশাল অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য নির্মাণ খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রায় সমাপ্ত হওয়ায় এসব কর্মীদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, কী প্রক্রিয়ায়, কত খরচে এবং কবে থেকে পুরোদমে কর্মী নেওয়া শুরু হবে, তা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের চলমান এই বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, দেশটি কোটা বাড়ানোয় কাতারের শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য পূর্ণরূপে উন্মুক্ত হলো। এতদিন সীমিত আকারে কিছু লোক গেলেও এখন থেকে সংখ্যা বাড়বে।
‘কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য নির্মাণ কাজে তাদের অনেক শ্রমিক লাগবে। এজন্য তারা কোটা বাড়িয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এখন থেকে বাংলাদেশ ২ থেকে ৩ লাখ শ্রমিক কাতারে পাঠাতে পারবো। ’
জানা গেছে, এতোদিন নানা কারণে বাংলাদেশের জন্য ভিসা একেবারে সীমিত করে রাখে কাতার সরকার। এটি আবারো পুরোদমে আগের অবস্থায় ফিরতে যাচ্ছে। দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নেপালের এক নাগরিক খুনসহ নানা কারণে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া কমিয়ে দিয়েছিল কাতার।
এদিকে বিশ্বকাপের আগে এখন উপসাগরীয় দেশটির সুরক্ষা ও আতিথেয়তা খাতে অনেক কর্মীর প্রয়োজন হবে। আর তাই যৌথ কারিগরি কমিটির (জেটিসি) এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল কাতারের এসব অঞ্চলে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরির করতে এবং বাংলাদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি)-এর তথ্য মতে, ২০১৫ সালে উপসাগরীয় দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন। ২০১৬ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার জনে। ২০১৭ সালে ৮২ হাজার জন, ২০১৮ সালে ৭৬ হাজার ৫৬০ জন কর্মী অভিবাসী হয়েছে এবং গেল বছর (২০১৯) সালে এই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ২৯২ জনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
জিসিজি/এমএ