তিনি বলেছেন, একজন সংসদ সদস্য বলেছেন, আমি ব্যবসায়ী মন্ত্রী। এ কারণে আমি ব্যবসাটা ভালো বুঝি।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সময় ব্যবসায়ী ছিলাম। ব্যবসা করা তো অপরাধ না। ব্যবসা করেছি ১২ বছর আগে। কাল সামান্য সময়ের জন্য আমার খারাপ লেগেছ। আমি বলতে বাধ্য হয়েছি, ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এটা বলতে পারলেন, কিন্তু আমি এ বছর সারাবিশ্বের মধ্যে সেরা অর্থমন্ত্রী এটা বলতে পারলেন না। তাদের বক্তব্য হলো, ব্যংকের দুর্বল অবস্থা। টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। কোন সংসদ সদস্য সংসেদ এ কথা বলেছেন, দেশবাসী বিশ্বাস করে। আমি আসার পর কয়দিন ছাপাতে পেরেছেন, এখন এ টাকা পাচার হয়ে গেছে। আমি তো গত এক বছর দেখিনি। আগে মাঝে মাঝে নজরে পড়তো।
তিনি বলেন, সংসদে যারা বিরোধী দলের আছেন, তাদেরও সমর্থন লাগবে। তাদেরও অবদান আছে। কাউকে বাদ দিয়ে নয়। আমি মনে করি, কালকের বিষয় ডিপলি নেবেন না। নেওয়ার দরকার নেই। আমিও ভুলে গেছি, কালকেই আমাকে পেছন থেকে বন্ধুবান্ধব বলেছে, তুমিও সেখানে যাও। আমি বলেছি ওদিকে যেতে পারবো না, সেই ভাষা আমি শিখিনি। আমরা এটাকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিই।
টাকা নিয়ে ভয় কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, হয়তো তারা বুঝতে পারেনি। আমি দেখলাম যে সংসদে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ঠিক ছিল। তখন মনের আনন্দে কেউ কেউ বলছে, ২৫ কেন ৫০ শতাংশ নেওয়া উচিত। সরকার ২৫ শতাংশ নিলে বাকি ৭৫ শতাংশ তো তাদের থাকবে। অতিরিক্ত টাকা রেভিনিউ ক্যাপিটাল খরচ বাদ দিয়ে ২৫ শতাংশ রেখে ব্যালেন্সটা রেখে দেবে। এটা হলো একটা জবাবদিহিতার ব্যাপার। টাকার জন্য না। আবার বলি টাকার চেয়ে বড় হলো ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
জিসিজি/টিএ