ভুক্তভোগী প্রকৌশলীর নাম ফরিদুল ইসলাম। তিনি বিএমডিএর পঞ্চগড় অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী প্রকৌশলী বাদী হয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার আসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ভুক্তভোগী প্রকৌশলী ফরিদুল বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ের ফটকের সামনে কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় ঠিকাদার আসলাম তাকে পাশে ডেকে নিয়ে কোনোকিছু না বলেই অতর্কিতভাবে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। পরে তাকে পিস্তুল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
তবে অভিযুক্ত ঠিকাদার আসলাম খান মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আমি তার অধীনে একটি বিল্ডিংয়ের কাজ পাই। এমনিতেই কাজটি পুরোনো রেটের ছিল। তাছাড়া সাড়ে ৫ ফুট ওয়ালের কাজ জোরপূর্বক ৮ ফুট করিয়ে নিয়েছে। হিসাবের চেয়ে এক টন রডও বেশি গেছে। তিনি আমাকে মানসিক এবং আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে আমি তাকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছিলাম।
এ সময় তার (ফরিদুল) কাছ থেকে ২ লাখ টাকা পাওনা আছে বলেও দাবি করেন অভিযুক্ত ঠিকাদার।
মামলা দায়েরের ব্যাপারে রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে আমি থানার বাইরে ডিউটিতে আছি। তবে এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে কী না তা জানা নেই। রাতে থানায় গিয়ে বিষয়টি যাচাই করে দেখবো।
এদিকে, ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইইবি রাজশাহী কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য রুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মুফতি মাহমদু রনি। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঠিকাদার আসলাম খানকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
এসএস/এজে