শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে উপজেলার দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন আবদুল্লাহর চরের অদূরে মেঘনা নদীতে জেলেদের নৌকায় ডাকাতিকালে ছয় জলদস্যুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জেলেরা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত জেলে মো. ছিদ্দিক ও মো. রুবেলকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক জলদস্যুরা হলেন- ভোলার দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা এলাকার আবদুর রবের ছেলে মো. কালাম (৩২), বোরহানউদ্দিন উপজেলার ফুলকাছিয়া এলাকার কাঞ্চন বেপারীর ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৩০), চেয়ারম্যান বাজার এলাকার মঞ্জুর পাটোয়ারীর ছেলে মো. জিসান (২৮), নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার জাহাজমারা এলাকার তাজল কবিরাজের ছেলে আশরাফ উদ্দিন বেলাল (৩৫), চরবাটা এলাকার আলী হোসেনের ছেলে মো. মাহফুজুল হক (৪৫) ও কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে মো. কামাল (৪৫)।
আলেকজান্ডার সেন্টার খাল মাছ ঘাটের আড়তদার মো. বাবুল জানান, রাতে তার আড়তের একটি মাছ ধরার নৌকা নিয়ে আট জেলেসহ ছিদ্দিক মাঝি চর আবদুল্লাহর অদূরে মেঘনা নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন। এ সময় একটি নৌকা নিয়ে ছয় জলদস্যু ওই মাছ ধরার নৌকায় হামলা চালিয়ে ছিদ্দিক ও মো. রুবেলকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এক পর্যায়ে তাদের চিৎকারে আশপাশের জেলেরা এগিয়ে এসে ছয় জলদস্যুকে আটক করে পুলিশে দেন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জলদস্যুদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
এসআর/আরবি/