শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নলকূপটি থেকে গ্যাস-পানি ও বালু ওঠা বন্ধ হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে গ্যাস ওঠা কমে আসে।
ওই বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আল-মামুন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, টানা তিনদিন ধরে নলকূপ থেকে গ্যাস-পানি ও বালি ওঠায় বিদ্যালয়ের মূল ভবনসহ সীমানা প্রাচীরের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এগুলো মেরামতের জন্য চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে আর গ্যাস নির্গমন না হলে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, তিনদিন ধরে অবিরত গ্যাস নির্গমনের কারণে এলাকার সবাই আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। তিনদিন পর শনিবার সকাল থেকে তা বন্ধ হওয়ায় এখন অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাড়িতে চুলায় আগুন জ্বালাতে পারছেন। রান্নার আর সমস্যা হচ্ছে না।
কসবা গ্যাস ফিল্ডের প্ল্যান্ট অপারেটর রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, নলকূপের নিচ থেকে গ্যাস-পানি ও বালু ওঠা বন্ধ হয়েছে। কূপের পানি কয়েক ফুট নিচে নেমে গেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বায়েক ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রায় সাড়ে ৫০০ ফিট খনন করার পর হঠাৎ করে বিকট শব্দে গ্যাস উঠতে থাকে সেই কূপ থেকে। এরপর থেকে গ্যাসের সঙ্গে অনবরত উঠতে থাকে পানি ও বালি। এতে প্রচণ্ড বুদবুদ সৃষ্টি হয়ে সেখানে ৮০/৯০ ফুট উচ্চতায় পানি ও গ্যাস উঠতে শুরু করে। পানি ও গ্যাসের প্রচণ্ড চাপে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসহ গাছপালা কূপের গর্তে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যালয়ের মূলভবন। মাটির নিচ থেকে নির্গত বালি স্কুল মাঠসহ পার্শ্ববর্তী জমিতে এবং বাড়ি-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের এলাকায় আগুন দিয়ে রান্না না করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয় মাইকিং। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। রান্না বন্ধ থাকায় শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটিয়েছেন তারা। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম।
** স্কুলের নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস, বালু ও পানি
** ক্রমশই বড় হচ্ছে গ্যাসকূপের গর্ত, ঝুঁকিতে স্কুলভবন
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
এসআরএস