শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিহতের বাবা দীপক দে বাদী হয়ে নগরের শাহপরান (র.) থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আটক ছাত্রলীগকর্মী সৈকতকে প্রধান করে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিন/চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মহানগরের শাহপরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। নিহতের সৎকারের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড়ে ছাত্রলীগকর্মী সৈকতের নেতৃত্বে দ্বীপকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়। প্রতিপক্ষ গ্রুপের সৈকতের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দ্বীপ নগরের শিবগঞ্জ গ্রিনহিল এস্টেট কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং শিবগঞ্জ সাদিপুর এলাকার দিপক দের ছেলে। তারা টিলাগড় সাদিপুর দুই নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
দ্বীপ টিলাগড়ের আওয়ামী লীগ নেতা রনজিত গ্রুপের অনুসারী ছিলেন। হামলাকারী সৈকতও একই গ্রুপের অনুসারী বলে জানা গেছে। ঘটনার পর সৈকতকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক দেখায় পুলিশ।
ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
এনইউ/আরবি/