মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রেডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম একথা বলেন।
তিনি বলেন, মোস্তাক-জিয়া ইনডেমিনিটি আদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দেন তাদের রক্ষার জন্য।
শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজ শুরু করেন তখন থেকেই অতি বিপ্লবীরা (যারা এক সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন) উচ্চবিলাসীর কারণে দেশে অরাজকতা বিশৃঙ্খলা শুরু করে। স্বাধীনতার অতি বিপ্লবী সিরাজ শিকদারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে উৎখাত করার চেষ্টা করে। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দেশ পুনর্গঠনে বাধা দেয়। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে গণবাহিনী গঠন করা হয়। পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। স্বাধীনতাবিরোধী একটি আন্তর্জাতিক শক্তি যারা আমাদের বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি তারা মরিয়া হয়ে ওঠে।
‘১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট চীন, পাকিস্তান, লিবিয়া ও সৌদি আরব খুনি মোস্তাক সরকারকে অভিনন্দন জানায়। পশ্চিমা অনেক দেশ খুনি সরকারের সঙ্গে কাজ করায় সম্মত হয়। ’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর শোনার পরে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, সো হোয়াট ইফ প্রেসিডেন্ট ইজ কিল, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার। এবং জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যে জড়িত সেটা সাংবাদিক অ্যান্থনির বইয়ে দেখতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এসই/এএ