ওমর ফারুক ও ঘাতক শাজাহান আলী সদর উপজেলার জংলী এলাকার মৃত সিদ্দিক ব্যাপারির ছেলে। তারা দু’জনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, জংলী গ্রামের মৃত সিদ্দিক ব্যাপারির পাঁচ ছেলে। প্রত্যকেই পৃথকভাবে সংসার করছেন। এদের মধ্যে দু’ভাই রাজশাহীতে থাকেন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ফারুক ও শাজাহান একসঙ্গেই থাকতেন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ফারুকের বউ অনেক আগেই তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। সম্প্রতি শাজাহানের বউও তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। শাজাহানের তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় ফারুক নিজে রান্না করে ছোট ভাই শাজাহানকে খাওয়াতেন এবং দু’ভাই একত্রে বসবাস করতেন।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পারিবারিক একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিকেলে জংলী মোড়ের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ফারুক। এ সময় পুর্ব ঘটনার জের ধরে শাজাহান পেছন দিক থেকে বড় ভাই ফারুকের গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পর পরই শাজাহান হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি নিয়ে নাটোর থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু ঘাতক নিজেই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। কাজেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
আরবি/