পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার শিকার সাব মিয়া সোহেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ফলিত গণিত বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান দুর্জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাব মিয়া সোহেলকে ডেকে পাঠান। সোহেল নীল দীঘী পাড়ে গেলে তার দেওয়া স্ট্যাটাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এসময় সোহেল তার দেওয়া স্ট্যাটাসের জন্য ক্ষমা চাইলেও তার কথায় কর্ণপাত না করে দুর্জয় তার দলবল নিয়ে সোহেলকে মারধর করে।
স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী সাব মিয়া সোহেল দুর্জয় ও তার গার্লফ্রেন্ডের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে। ওই ছবিকে কেন্দ্র করে সোহেলের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে দুর্জয় ও তার সঙ্গীরা।
এসময় দুর্জয়ের গার্লফ্রেন্ড মারিয়াম সিদ্দিকা জেমি সোহেলকে কান ধরিয়ে হাঁটায় এবং চরমভাবে লাঞ্ছনা করে। জানা যায়, জেমি সোহেলের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র শিক্ষার্থী।
এদিকে জুনিয়র কর্তৃক লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে হামলার পরে সোহেল আত্মহত্যার চেষ্টা করলে অচেতন হয়ে পড়েন। এসময় তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ হামলার ঘটনায় সাকিবুল হাসান দুর্জয়ের সঙ্গে সমাজকর্ম ২০১৮-১৯ বর্ষের সোহান, লিমন ও একই সেশন বাংলা বিভাগের তানভীর মাহতাব সামি অংশ নেয়। এছাড়া নাম জানা যায়নি এমন আরও ১০ জনের মত এ হামলায় অংশ নেয় বলে সোহেলের সহপাঠীরা জানান।
হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকিব মোশাররফ ধ্রুব'র কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপের অনুসারী।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, এ হামলার ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
আরএ