বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ অন্য পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে বড় কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, চীন থেকে দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশি কোনো নাগরিকের শরীরে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি।
গাজী গোলাম মোর্তজা লিখিত বক্তব্যে জানান, চীন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বৈশ্বিক জিডিপিতে চীনের অবদান ১৬ শতাংশ। চীনের অর্থনীতির ওপর যে কোনো আঘাত বিশ্বের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চীনের সক্ষমতা আছে। আক্রান্তদের নিবিড় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উহানসহ সংক্রমিত এলাকাগুলোতে জনসাধারণের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে। চীনে অবস্থানকারী বিভিন্ন দেশের নাগরিকসহ সংক্রমিত এলাকায় বসবাসকারীদের খাদ্যসহ সব রকমের চাহিদা পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের তালিকা ধরে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। খাদ্যসহ সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যত চুক্তি, প্রতিশ্রুতি দেওয়া আছে সেগুলো পূর্ণ করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সেই চাহিদার আলোকে কাজ করছি।
বাংলাদেশ-চীন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেম্বারের সভাপতি গাজী গোলাম মোর্তুজা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিসিসিআইয়ের মোহাম্মদ শাহজাহান মৃধা, দূতাবাসের কর্মকর্তারাসহ চেম্বারের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
পিএস/এবি