সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহনাজ শিথুন মুন্নী পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করেন।
আরও পড়ুন: বনভোজনে না যাওয়ায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র!
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত (ইউএনও) শাহনাজ শিথুন মুন্নী বাংলানিউজকে জানান, ১৮ শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র দেওয়ার ঘটনায় জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামন দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, কমিটির সদস্যদের নিয়ে তিনি সরেজমিন তদন্ত করতে এখন জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন। এ মুহূর্তে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি নন।
১০ ফেব্রুয়ারি জমিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য চাঁদা ধরা হয় ৪শ টাকা। ১৮ শিক্ষার্থী চাঁদারটাকা দিতে না পারায় বুধবার(১২ ফেব্রুয়ারি) তাদের বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভুক্তভোগী পাঁচ শিক্ষার্থী ওই দিন বিকেলে পার্বতীপুরের উইএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে সর্বপ্রথম বাংলানিউজকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এসএইচ