বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তার খাস কামড়ায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন এ তথ্য জানান।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে পরকীয়ার সন্দেহে কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী সাজেদা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন ফেরদৌস। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা স্বামী ফেরদৌসকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, ফেরদৌস পেশায় রিকশাচালক। সাজেদা আক্তার বাসা বাড়িতে কাজ করতেন। দুই তিন বছর আগে ফেরদৌস ও সাজেদা হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন। রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় দুই সন্তানকে নিয়ে একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা।
তারা আরও জানান, সাজেদার বাসার কাছাকাছি রাসেল নামে একজনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে ফেরদৌস সন্দেহ করতেন। বাসাবাড়িতে কাজের ফাঁকে সাজেদা গভীর রাত পর্যন্ত বাইরে থাকতেন। সন্তানের দেখাশুনাও ঠিকমতো করতেন না। তাই তাদের মধ্যে আগে থেকেই দাম্পত্য কলহ ছিল। এছাড়াও ফেরদৌসের মাদকাসক্তি নিয়েও উভয়ের মধ্যে অশান্তি ছিল। পারিবারিকভাবে এ নিয়ে শালিস হলেও কোনো ফল হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
কেআই/এবি