পূর্ব কালিকাপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের তিনটি ব্যারাকেরই টিনের চাল ঝাঝরা হয়ে গেছে। ঘরের বেড়া খুলে পড়েছে।
বসবাসের অযোগ্য এই আশ্রয়ন প্রকল্পে শীত, বৃষ্টি, ঝড় এমনকি রোদের সঙ্গেও সংগ্রাম করে বসবাস করছে পরিবারগুলো। আশ্রয়ন প্রকল্পের অনেক ঘরে মানুষ তো দূরের কথা গবাদি পশু রাখাও দায়।
সরেজমিনে আশ্রয়ন প্রকল্পটি দেখতে গেলে এখানকার বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ ফজর আলী গাজী বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩০টি পরিবার বসবাস করতো। এখন ২১টি পরিবার রয়েছে। এখানকার একটি ঘরও থাকার উপযুক্ত না। চাল ঝাঝরা হয়ে উড়ে গেছে। টয়লেটগুলো ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। ব্যারাকের পুকুর ভেঙে ঘরগুলোর মধ্যে চলে গেছে। যাওয়ার জায়গা নেই, তাই বাধ্য হয়ে এখানেই থাকতে হয়। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমাদের বাসস্থানের মৌলিক অধিকারটুকু কি নেই?
পূর্ব কালিকাপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা হাজিরা খাতুন ও ফরিদা খাতুন জানান, তাদের ব্যারাকে ১৮-১৯টি শিশু রয়েছে। দুর্গন্ধময় পরিবেশ। শিশুরা নানা রোগ শোকের মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠছে।
সরকার ব্যারাকটি নির্মাণের পর কখনই কেউ এই ব্যারাকের খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
তারা বলেন, সরকার একটি রাস্তা নির্মাণ করলে তো কয়েক বছর পর পর তা সংস্কার করে, কিন্তু ব্যারাক করেছে ২৫ বছর। একটি বার খোঁজও নেয়নি যে, ব্যারাকের কি অবস্থা।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে নৌবাহিনী ব্যারাকটি নির্মাণ করেছিল। কিন্তু তারপরে একবারের জন্যও ব্যারাকটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মানুষ বাধ্য হয়ে এখনো ব্যারাকে রয়েছেন। কিন্তু এমন দুর্বিষহ অবস্থায় থাকা যায় না।
তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারাকটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
আরএ