শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। ধর্মঘট চলাকালে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।
এদিকে ইজিবাইক শ্রমিকদের আকস্মিক ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী। নির্ধারিত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে যেতে না পেরে বিপাকে পড়তে হয় শত শত যাত্রী সাধারণকে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের। তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অনেকে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি। তবে এ সুযোগে কিছু রিকশাচালক কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দাবি করেন।
আগে থেকে কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ইজিবাইক বন্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহরবাসী ও যাত্রী সাধারণ। তারা দ্রুত এর প্রতিকার দাবি করেছেন।
ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমিতির সভাপতি মুনতাজুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলাতে প্রায় ২০ হাজার ইজিবাইক আছে। অনেক শিক্ষিত বেকার চাকরি না পেয়ে স্থানীয় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক কিনে সংসার পরিচালনা করছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ইজিবাইককে অবৈধ যান ঘোষণা করে সড়ক থেকে উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ প্রশাসন চার দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে চুয়াডাঙ্গার সড়কগুলো থেকে অযান্ত্রিক সব ধরনের যান উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। এরই প্রতিবাদে ইজিবাইক মালিক শ্রমিকরা লাগাতার ধর্মঘট পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
আরএ