শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে আসার দাবিতে পুরনো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা পরে তালা খুলে দেন।
এর আগে দ্বিতীয় শিফটের পারিশ্রমিক হ্রাসের প্রতিবাদে ও উনিশ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীরা জানান, দেড় বছর ধরে শিক্ষকরা ২য় শিফটের কর্মবিরতি চালিয়ে আসছেন। এ কর্মবিরতির কারণে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আন্দোলনরত ২য় শিফটের শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের ক্লাসে যদি শিক্ষক ফিরে না যান তাহলে ইনস্টিটিউট খুলতে দেওয়া হবে না। সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোশারফ হোসেন, মাহফুজ ও জোবায়ের হোসেন।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি মাসের এক তারিখ থেকে শিক্ষকরা আন্দোলন করে আসছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া পেলে ছাত্র-শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। এ দাবি মেনে নেওয়া ছাড়া তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন না।
ফেনী পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাজ উদ্দিন পলাশ বলেন, মূল বেতনের ৫০ শতাংশকে (জাতীয় পে-স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী) ভিত্তি করে বেতন বৃদ্ধি পর্যায়ক্রমে ১০০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে সরকারকে। সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েও এ দাবি পূরণ করছেন না।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী-সচিবরা আমাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করলেও কোনো অদৃশ্য কারণে পরিপত্র জারি করে আমাদের দাবির পক্ষে সাড়া দিচ্ছেনা। ফলে আমাদের পক্ষে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস থেকে বিরত থাকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
এসএইচডি/এবি