রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এ মামলায় দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চৌড়হাস আদর্শপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২৫), এরশাদ নগর আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে সুজন (২২), পূর্ব মজমপুর গ্রামের নান্নু ড্রাইভারের ছেলে শাহরিয়ার নাইম রাব্বি (২৪) এবং চৌড়হাস ফুলতালা গ্রামের কোহিনুরের ছেলে পিয়াস (২৫)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পলাশ মোটরসাইকেলে পিটিআই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা তার পথরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় পলাশকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মৃত পলাশের মা সেলিনা বেগম ছয় আসামির নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ জুন আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকটে আব্দুল হালিম বলেন, দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি শেষে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রনি ও ফয়সালকে খালাস দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এনটি