সিঙ্গাপুরফেরত ওই ব্যক্তির নাম আব্বাস আলী (৪২)। তিনি উপজেলার দেউলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের শামছুল হকের ছেল।
এ বিষয়ে উপজেলার কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা রাজিক বাংলানিউজকে জানান, এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে আব্বাসকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা রাজিক জানান, আব্বাস বাড়িতে এসে তার স্ত্রীকে দেশের বাইরে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করেন। এর পর তার স্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এর পর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আব্বাস আলী জানান, তার কোনো সময় জ্বর বা ঠান্ডা লাগেনি। হয়রানি করার জন্য তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব বাংলানিউজকে জানান, এলাকাবাসীর সন্দেহের কারণে আব্বাস আলী প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে যান। পরে সেখান থেকে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো নমুনা জ্বর বা ঠান্ডাও নেই। তবুও তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, সিঙ্গাপুর থেকে আব্বাস আলী যখন দেশে আসেন, তখন তার শরীরে কোনো করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। এমনকি বিমান বন্দরের স্ক্যানারেও জ্বরের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর উদ্বেগের কারণে এ সমস্যা হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
ওএইচ/