ঢাকা, শুক্রবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘বড় অবকাঠামো নির্মাণ করায় ঢাকার বায়ুমান খারাপ হচ্ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
‘বড় অবকাঠামো নির্মাণ করায় ঢাকার বায়ুমান খারাপ হচ্ছে’

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কর্মকাণ্ড বাড়ানোর ফলে রাজধানীর বায়ুমান বেশি খারাপ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা জানান।  

এ সময় অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শররিমন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

রোববারের প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

শাহাব উদ্দিন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বাষুদূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যায়। রাজধানী ঢাকা শহরে শুস্ক মৌসুমে শুধুমাত্র সুক্ষ্ম বস্তুকণার পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রার বাইরে থাকে।  

পড়ুন>> মুজিববর্ষে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পাবেন বাড়ি 

‘২০০২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বায়ুমানের ডাটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিন বছর বায়ুমান বেশি খারাপ হয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কর্মকাণ্ড বাড়ায় পাওয়ায় এমনটি ঘটেছে। ’ 

তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশজুড়ে বায়ুর গুণগত মান পরিমাণ করা হচ্ছে। অন্যান্য দুষক যেমন- সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন-মনোস্কাইড ইত্যাদি সারাবছর মানমাত্রার মধ্যে থাকে। বায়ু দূষণের উৎস হিসাবে ইটভাটা, যানবাহন, রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়িসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম, পৌরবর্জ্য ও বায়োমাস পোড়ানো এবং ট্রান্সবাউন্ডারি প্রভাবকে দায়ী করা হয়।

তিনি বলেন, আইনের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর দেশে বিদ্যমান ইটভাটাসমূহকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অবৈধ পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে অভিযান চালিয়ে আসছে।  

‘এর মধ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৬শ’ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে। ’ 

মন্ত্রী বলেন, মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইট উৎপাদন ও ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।  

‘পরবর্তীকালে সব বেসরকারি কাজে ইটের বিকল্প ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইট উৎপাদনও ব্যবহার শূন্যে নেমে আসবে,’ যোগ করেন শাহাব উদ্দিন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।