ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘সোনার বাংলার বাস্তবায়ন ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
‘সোনার বাংলার বাস্তবায়ন ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক’ ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি

ঢাকা: ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে সবসময়ই বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকেছে। দখল ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বহু বছরের সংগ্রামের কারণে বঙ্গবন্ধু আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের বেদনা দৃঢ়ভাবে অনুধাবন করেছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যে বক্তব্য রাখেন সেখানেও তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ব্যক্ত করেন। ফিলিস্তিনের প্রতি বঙ্গবন্ধুর সেই সমর্থনের ঘোষণার প্রতি আজও বাংলাদেশ অবিচল রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মানের উদ্যোগে ‘স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। ওয়েবিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি এবং ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী শাহ আলি ফরহাদ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হওয়া ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও উৎসাহের বিষয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকারের  প্রতি যে ভ্রাতৃত্ববোধ অব্যাহত রেখেছেন তা সত্যিই অতুলনীয়।

রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আম্মান দূতাবাস বছরব্যাপী একাধিক সেমিনারের পরিকল্পনা করেছে। তারই অংশ হিসেবে আয়োজিত প্রথম সেমিনারটি নিঃসন্দেহে বিশেষ গুরত্ব বহন করে। বাংলাদেশ সবসময়ই তার সাফল্য ও সমৃদ্ধি লাভের ক্ষেত্রে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ সমুহকে সাথে পেয়েছে। তাই বাংলাদেশের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে আজকের সোনার বাংলার সাফল্য গাঁথার আনন্দঘন উদযাপনে জর্ডান ও ফিলিস্তিনের জনগণকে উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের অবিসংবাদিত নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবায়নের সফল কারিগর। যে সপ্ন একদিন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তারই সুযোগ্য কন্যা আজ তার বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

শাহ আলী ফরহাদ তার বক্তব্য শেষে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।  

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য বঙ্গবন্ধুর যে আকাঙ্ক্ষা, যে স্বপ্নের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু দেখতে চেয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে দলমত নির্বিশেষে একই জাতীয়তা বোধ ও চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রসচিব তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বপ্নের নাম। বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীন রাষ্ট্রের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের কূটনীতিক আদর্শ নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। একজন সফল স্বপ্নদ্রষ্টার কারণেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আত্মপ্রত্যয় ও আপন মহিমায় আজ উড়ে চলেছে লাল সবুজের পতাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।