ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঝিনাইদহে যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু, দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
ঝিনাইদহে যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু, দোকানিকে পিটিয়ে হত্যা স্বপন শেখ ও চা দোকানি ইনানুর রহমান

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুলতলা বাজারে ইনানুর রহমান (২৪) নামে এক চা দোকানিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইনানুর রহমানের ভাই আজিনুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।

এদিকে শৈলকুপা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বপন শেখ (২৭) নামে আহত এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।  

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপন শেখের মৃত্যু হয় ও একই দিন সকাল ৮টার দিকে পুলিশ ইনানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে। ইনানুর রহমান মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে ও নিহত স্বপন শৈলকুপায় উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আহাম্মদ শেখের ছেলে।

অপরদিকে মহেশপুর পৌরসভার কাউন্সিলর মিন্টু হোসেন জানান, পৌরসভার কুলতলা বাজারে ইনানুরের একটি চায়ের দোকান আছে। রাতে দোকানে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে কে বা কারা তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। সকালে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে স্বপনসহ আরও কয়েকজন শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের গ্রুপ পরিবর্তন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান ইকুর দলে যোগদান করে।

এ ঘটনার জেরে ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় স্বপন ও তার সহকর্মীদের ওপর হামলা করে মেয়রের লোকজন। সেখান থেকে দৌড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আশ্রয় নিলে সেখানে তাদের কুপিয়ে যখম করা হয়। এতে স্বপন ও রাব্বি গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া ও পরে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়। ঘটনার ১৪ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপনের মৃত্যু হয়।

নিহতের ছোট ভাই সবুজ শেখ জানান, আমরা ঢাকায় আছি। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর এলাকায় নিয়ে যাব। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুনেছি স্বপন মারা গেছে। যেদিন তার ওপর হামলা হয়েছিল ওই দিন তার চাচা ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। যেহেতু স্বপন মারা গেছে সেই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।