ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

কবিতার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছানো যায়: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
কবিতার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছানো যায়: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: কবিতার শক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে নাটক-কবিতা, গানের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবিতার মধ্য দিয়ে, গানের মধ্য দিয়ে, নাটকের মধ্য দিয়ে, সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২০২০-২২’ এর উদ্বোধন ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে (ভার্চ্যুয়াল) প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 
 
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, কবিতার মধ্য দিয়ে অনেক না বলা কথা বলা যায়। রাজনীতিবিদরা অনেক কথা বা বক্তব্য দেন। কিন্তু একটি কবিতার মধ্য দিয়ে মানুষ অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ হয়। কবিতার মধ্য দিয়ে, গানের মধ্য দিয়ে, নাটকের মধ্য দিয়ে, সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।

বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে কবিতার অবদানের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর আঘাত কতবার এসেছে। কিন্তু বাঙালি বসে থাকেনি। প্রতিবারই কিন্তু প্রতিবাদ করেছে। আমাদের যারা সাহায্য করতো... তারা একেকজন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার। নীল দর্পন এ নাটকের মধ্য দিয়ে বৃটিশবিরোধী আন্দোলন এগিয়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না তখন আমাদের কবিতার মধ্য দিয়েই তো প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমি বলবো যে এদেশের আন্দোলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে কবিদের...। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবার প্রতি। অনেকে নাটক লিখেছেন, কবিতা লিখেছেন, বই ছাপিয়েছেন। যার জন্য গ্রেফতারও হতে হয়েছে অনেককে। কিন্তু থেমে থাকেননি।

‘আমরা যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু করলাম, তখনো পথ নাটক, কবিতা, আবৃত্তির মধ্য দিয়েই কিন্তু এগিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সেখানে অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে। ’

কবিতার প্রতি নিজের আগ্রহ ও ভালোবাসার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও এমন উৎসবে বহুবার গিয়েছি। পেছনের সারিতে বসে শুনেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।