লক্ষ্মীপুর: কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফেরারা পথে লক্ষ্মীপুরে এক তরুণী শ্লীলতাহানির ঘটনায় এক গ্রাম পুলিশসহ চার জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর চার জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন, সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) সদস্য দুলাল হোসেন, একই এলাকার মিন্টু মাঝির ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (২৮), মৃত মজিবুল হকের ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৩৮) ও মো. দুলালের ছেলে মো. রিপন (২০)।
বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ চররুহিতা ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি চররুহিতা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি জেলা শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী জেলা শহরের একটি প্রতিষ্ঠানে রিসিপশনে চাকরি করেন। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার (২৩ মার্চ) কাজ শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চররুহিতার কাঞ্চনীবাজার নিজ বাড়িতে যাবার উদ্দেশ্যে জেলা শহরের উত্তর তেহমুনী এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন।
এর আগেই ওই অটোরিকশায় অভিযুক্ত রিপন ও নিজাম উদ্দিন বসা ছিলেন। অটোরিকশাটি মজুচৌধুরী হাট সড়কের নতুন মহিলা কলেজ এলাকায় পৌঁছলে রিপন ও নিজাম জোরপূর্বক তরুণীকে শ্লীলতাহানি করেন। চিৎকার দিলে একপর্যায়ে তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তরুণী আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে জনতা বাজারে পৌঁছলে অভিযুক্তরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুনরায় মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। এ সময় গ্রাম পুলিশ দুলাল এগিয়ে এসে তরুণীকে উদ্ধার না করে মারধরে অংশ নেন।
মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত রিপন প্রায় সময় আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
কেএআর