নরসিংদী: ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে যেতে হয় জেলে। তারপর মোটা অংকের টাকা খরচ করে নিতে হয় মামলার জামিন।
এমন তথ্য দিয়েছেন বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যাসহ ৯টি মামলার আসামি ইয়াকুব।
সোমবার (৪ এপ্রিল) ভোরে নরসিংদী শহরের আরশীনগর রেল ক্রসিংয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় তাকে তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- নরসিংদীর পলাশ উপজেলার রামপুর এলাকার মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে ইয়াকুব (৩৫), চাদঁপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার উত্তর হাসা এলাকার হেদু মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৩২), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার রুহিপাগারিয়া এলাকার শাহিন মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৫) ও ভোলা জেলার লালমোহন থানার দক্ষিণ আড়ালিয়া গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে আরিফ (২২)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে শহরের আরশীনগর মোড়ে টহলের সময় একটি পিকআপভ্যানকে থামার সংকেত দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিকআপভ্যানটি বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ পিকআপভ্যানটির গতিরোধ করলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় চারজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও দুইজন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন কুখ্যাত ডাকাত ইয়াকুব। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। পরে পিকআপভ্যান তল্লাশি করে তালা কাটার মেশিন, চাপাতি ও লোহার রড জব্দ করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়েই কথা হয় ইয়াকুবের সঙ্গে। গ্রেফতার হয়ে জেলখাটার পর কেন বারবার ডাকাতি করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াকুব সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারের পর আদালত, পরিবারের খরচ ও জামিনের জন্য প্রায় চার লাখ টাকার মতো ঋণ হয় তার। সেজন্যই আবারও সদস্য সংগ্রহ করে ডাকাতি শুরু করেন তিনি। ১৫ দিন আগে ডাকাতি মামলার জামিন নিতে আইনজীবীকে লক্ষাধিক টাকার ওপরে খরচ দেন তিনি।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার বলেন, রাত্রীকালিন টহলের সময় সন্দেহজনক একটি পিকআপভ্যান আটক করা হয়। সেই পিকআপভ্যান থেকে ডাকাত ইয়াকুব ও তার সহযোগীদের ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২২
আরএ