বরিশাল: ‘কোটি টাকার ব্রিজে উঠতে লাগে মই!’ এই শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে টনক নড়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়।
জানা গেছে, স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের অর্থায়নে উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামের শংকর খালের ওপর এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শরীফ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই বছর আগে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
কাজ শেষ হলেও সেতুতে উঠার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেননি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। যে কারণে বাগধা ইউনিয়নের সোমাইপাড়, নাঘিরপাড়, খাজুরিয়া, চাঁদত্রিশিরা ও আস্কর গ্রামসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মই দিয়ে সেতু পার হতে হচ্ছে। অনেকে সেতুতে উঠতে গিয়ে কয়েকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পরে টনক নড়ে এলজিইডি বিভাগের।
বরিশাল এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন শরীফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঠিকাদারকে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যদি দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে না পারে তাহলে তার লাইসেন্স বাতিলের কথা বলেন। এরপরেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সোমবার বিকেল থেকে সেতুর দুই পাশে ভেকু দিয়ে মাটির কাজ শুরু করেন।
ঠিকাদার ফয়েজ শরীফ জানান, নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ঠিকই কিন্তু এক পাশে একটি পুকুর থাকার কারণে এত দিন সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করতে পারিনি। আর বরাদ্দ না পাওয়ার কারণেই কাজে বিলম্ব হয়েছে। এখন দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার জানান, সেতুটি সচল করতে ও দুই পাশের সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিকবার বলা হয়েছে।
বাংলানিউজসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে বরিশাল এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন শরীফ সেতুর স্থান পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
এমএস/এএটি