ফরিদপুর: স্বাস্থ্য প্রতিবেদনের জন্য ঘুষ না দেওয়ায় মেহেদী হাসান (৩০) নামে এক ব্যাংকারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের বাড়ি নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গজগাঁ গ্রামে। তিনি সম্প্রতি গাজীপুর পূবালী ব্যাংকে ডেপুটি জুনিয়ার অফিসার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মচারী নাম সাকিব হোসেন ওরফে সৌরভ। তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ব্যাংকার মেহেদী হাসান জানান, স্বাস্থ্য সনদের জন্য তিনি সদ্য পরীক্ষা করা সিবিসি, আরবি, ব্লাড গ্রুপ, এইচআইভি, এইচবিএস, ডোপটেস্ট, এক্সরে ও ইসিজি প্রতিবেদন নিয়ে গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে যান। তিনি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সাকিব হোসেনের কাছে পরীক্ষার প্রতিবেদনগুলি জমা দিয়ে স্বাস্থ্য সনদ চান। সাকিব হোসেন তাকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিভিল সার্জনের সনদ নেওয়ার জন্য আসতে বলেন।
মেহেদী হাসান বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি সনদ আনতে গেলে সাকিব তার কাছে ওই সনদের বিনিময়য়ে এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। মেহেদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে সাকিব ৫০০ টাকা দিতে বলেন। এ টাকা দিতে মেহেদী অস্বীকার করলে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাকিব মেহেদীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বের করে দেন।
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সাকিব হোসেন বলেন, আমি কোনো টাকা চাইনি। দুটি টেস্ট বেসরকারি ক্লিনিক থেকে করা ছিল। সেটি অফিসিয়ালি গ্রহণ করা হয় না জানালে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মেহেদী হাসান।
'আমি গায়ে হাত দেইনি, তবে তিনি দুর্ব্যবহার করেছেন'-দাবি করে সাকিব হোসেন বলেন, মেহেদী হাসান ক্ষমতার জোর দেখিয়ে অফিসের চেয়ার ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন।
জানতে চাইলে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে মেহেদী হাসানকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে সাকিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
আরএ