মেহেরপুর: গাংনীর ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগ ও শিক্ষকদের বেতন বিলে স্বাক্ষর করার জন্য ১৬ লক্ষাধিক টাকা আদায় করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী ও স্থানীয় সুধীমহল।
ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কমনরুমে বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীম হাসান, সহকারী শিক্ষক ফিরোজ হাসান, আব্দুল মোনেম, ইকবাল হোসেন হুছনিয়ারা খাতুন তাদের কাছ থেকে বেতন বিলে স্বাক্ষর করার অভিযোগ এনে জোর করে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাথুলি ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) আনারুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীম হাসান, সহকারী শিক্ষক ফিরোজ হাসান, আব্দুল মোনেম, ইকবাল হোসেন ও মোছা. হুছনিয়ারা খাতুনের প্রথম বেতনের বিল উত্তোলন করার জন্য সভাপতির কাছে বেতন বিলে স্বাক্ষর করাতে গেলে স্বাক্ষরের পূর্বেই আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন। তার দাবিকৃত টাকা না দিলে সেই সই করবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে তাকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে বেতন বিলে স্বাক্ষর করাতে বাধ্য হই ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
এছাড়া সহকারী শিক্ষক হুছাইন আলী, তৌহিদুল ইসলাম, মোছা. মমতাজ পারভীন ও বাবুল হোসেনের উচ্চতর বেতন স্কেল পরিবর্তন করার জন্য স্বাক্ষর নিতে গেলে জন প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক আরো জানান, বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী মো. বৃটেন আলীকে নিয়োগ দিয়ে ৫ লাখ টাকা, অফিস সহায়ক তুহিন হোসেনকে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও আয়া ফাতেমা খাতুনকে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন ইলিয়াছ হোসেন।
দলীয় পদ পদবীর ক্ষমতা ভাঙিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে সব সময় অসাদাচারণ করে থাকেন। তারা কর্মচারী নিয়োগের জন্য নেওয়া ঘুষের টাকা ও সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে জোর করে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়া সকল অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ইলিয়াছ হোসেন কাথুলি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সদস্য (মেম্বর)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২২
এনটি