ঢাকা: দেখতে দেখতে কেটে গেল পবিত্র রমজান মাসের ছয়দিন। ঈদুল ফিতর আসতে খুব বেশি দেরি নেই।
শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী প্লাজা, নিশি প্লাজা, বেনারসি পল্লী, মিরপুর নিউমার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ও মিরপুর শপিং সেন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বিভিন্ন শো রুম ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ দোকান ফাঁকা। দু-একজন ক্রেতা এলেও পণ্য দেখে চলে যাচ্ছেন। ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম।
বেনারসি পল্লীতে শাড়ি দেখতে এসেছিলেন বেসরকারি কর্মকর্তা শাহনাজ খান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ঈদের পরে আমার বোনের বিয়ে। ওর আর আমার জন্য শাড়ি কিনতে এসেছি। কিন্তু এখনো কোনো শাড়ি পছন্দ হয়নি।
মিতু কাতান শাড়ি ঘরের ম্যানেজার মো. আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বেনারসি শাড়িতে বর্তমানে তিন ধরনের ডিজাইন করা হয়ে থাকে। প্রথমত মিনা কাজ করা হয়। দ্বিতীয়ত পাথর বসানো হয়। তৃতীয়ত কোনো প্রকার নকশা না করে ফ্রেশ রাখা হয় বেনারসিটি।
তিনি আরো বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের শো রুমে দেশি-বিদেশি সব ধরনের শাড়ি রাখা হয়েছে। আমাদের দেশের নারীরা বিদেশি শাড়ির নাম শুনলে বেশি আকৃষ্ট হয়। তবে আমাদের দেশের শাড়িও বেশ ভালো।
বেচাকেনা নিয়ে আকরাম জানান, ঈদের সময় বেনারসি শাড়ি কম বিক্রি হয়। এখন যারা বেনারসি কিনছেন, তাদের কারো না কারো ঈদের পরে বিয়ে। আমাদের শো রুমে এক হাজার টাকা শুরু করে ৪৫ হাজার টাকা দামের শাড়ি আছে।
চাকরিজীবী জামান মিশু বলেন, ঈদের কেনাকাটা এখনো শুরু করিনি। আমি পরিবারের জন্য ১৫ রমজানের পরে কেনাকাটা শুরু করব। এখন মাঝে মাঝে বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে দেখছি কিছু আছে কি-না। পছন্দ হলে কিনছি।
মদিনা পাঞ্জাবি হাউজের মালিক মো. জোনায়েত বাংলানিউজকে বলেন, রমজানে জুমার দিন সন্ধ্যায় বেশি বেচাকেনা হয়। এমনিতে বেচাকেনা হবে ২০ রোজার পরে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ০৮ এপ্রিল, ২০২২
এমএমআই/এনএসআর