বরিশাল: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের দুর্গাসাগরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী স্নানোৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে। প্রতিবছর চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পাপ মুক্ত হওয়ার কামনায় এ দুর্গা স্নানে মিলিত হয়।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুর্গাসাগরে স্নানোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে এ আয়োজন করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে এ বছর হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগমে মিলন মেলায় পরিণত হয় দুর্গাসাগর পাড়।
পুণ্যার্থীরা ফুল, বেলপাতা, ধান, দুর্বা, ডাব, ফলসহ স্নান করতে দুর্গাসাগরে নামছেন।
পূজারি কার্তিক ঠাকুর বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে এখন থেকে ৫০০ বছর আগে রাজা সতীন্দ্র নারায়ণ রায়ের পূর্ব বাংলার বার ভূঁইয়ার এক ভূঁইয়া রাজা কন্দপ নারায়ণ রায় ও মাধব নারায়ণের বাংলার চন্দ্রদ্বীপের রাজধানী এ মাধপপাশা গ্রামে ছিল। পরে রাজা মাধপ নারায়ণ রায়ের নাম অনুসারে নাম হয় মাধপপাশা গ্রাম। বর্তমানে তার বংশধর দিলীপ কুমার রায় ও প্রদীপ কুমার রায়ের নেতৃত্বে এখানে পুণ্যস্নান ও মেলা হয়ে আসছে।
এদিকে তীর্থস্নান উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এ বছরও আয়োজন করা হয়েছে দুই দিনব্যাপী লোকমেলা। মেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে। মেলায় শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, সাজগোজের বিভিন্ন সামগ্রী, ফার্নিচার সামগ্রী, বিভিন্ন ধরনের খাবার সামগ্রী, শীতল পাটি, মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মেলায় নাগোরদোলা, চরকিসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্নর দোকান বসে মাঠজুড়ে।
স্নানোৎসব আয়োজন কমিটির সভাপতি স্থানীয় মাধবপাশার ৬ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ আদি যুগ ধরে এ স্নানোৎসব চলে আসছে। গত দুই বছর করোনার কারণে এ স্নানোৎসবের আয়োজন করা হয়নি। তাই লোকসংখ্যা এবারে বেশি হয়েছে। এছাড়া উৎসবস্থলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় ভলান্টিয়ার রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এমএস/আরবি