ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২২ বছর পর বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে লঞ্চ চলাচল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
২২ বছর পর বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে লঞ্চ চলাচল

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার বালাসী ফেরিঘাটে বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌরুটে লঞ্চ চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।  

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরের দিকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

নাব্যতা সংকটে ২০০০ সালে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২২ বছর পর আবারও রুটটিতে পরীক্ষামূলক লঞ্চ চালুর মাধ্যমে যাত্রী পারাপার শুরু হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. রফিকুল ইসলাম খান, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, নৌপথ ধরে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইসতেহারে ঘোষণা করেছিলেন ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করা হবে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শুধু নৌপথ নয় এই নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখতে ১০০ বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ) মাত্র সাতটি ড্রেজার ছিল যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের সংগ্রহ করা। পরে কোনো নতুন ড্রেজার যুক্ত করা হয়নি। কিন্তু গত ১৩ বছরে আমরা প্রায় ৪০টি ড্রেজার কিনেছি। এই রুট সচল রাখতে সার্বক্ষণিক ১০-১২টি ড্রেজার এখানে থাকবে। যেন কখনোই নাব্যতা নষ্ট না হয়ে যায়।



খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ লঞ্চ চলাচলে অভ্যস্ত নয়। লঞ্চ মালিকরাও এখানে নতুন করে ব্যবসা করছেন। ব্যবস্থাপনা এবং যাত্রীদের আগ্রহ থাকলে এখানে লঞ্চ সার্ভিস সাফল্য লাভ করবে বলে আশা করি। আরও দ্রুতগ্রামী কোনো জলযান দেওয়া যায় কিনা সে চিন্তাও আমরা করছি।

১৯৩৮ সালে তিস্তামুখ ঘাট-বাহাদুরাবাদ নৌরুট চালু করে ব্রিটিশ সরকার। তখন থেকে এই রুটে ঢাকা থেকে দিনাজপুর রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৯০ সালে নাব্যতা সংকটে তিস্তামুখ ঘাট ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু নাব্যতা সংকটে ২০০০ সালে রেলের যাত্রীবাহী ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই রুটে জামালপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকায় যাতায়াত করতো। বর্তমানে লঞ্চ সার্ভিস চালুর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের আট জেলার যাতায়াতে দুই-তিন ঘণ্টা সময় কম লাগবে। ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ও যমুনা সেতুর ওপর চাপ কমবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।