রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে যোগ দেওয়ার দুই দিনের মাথায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিতে শহীদ আবদুল গণির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় আবদুল গণির নিজ বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী লাকি আক্তার ও ছয় বছর বয়সি মেয়ে জান্নাত আক্তারকে নতুন পোশাক উপহার দেন নবাগত জেলা প্রশাসক।
এছাড়া পরিবারের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ফল ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যান তিনি। জেলা প্রশাসককে নিজ বাড়িতে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শহীদ আবদুল গণির স্ত্রী লাকি আক্তার ও মেয়ে জান্নাত আক্তার। এসময় তাদেরকে দ্রুত জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে অনুদানের তিন লাখ টাকা প্রদানে আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্ধার্থ ভৌমিক, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল আলম, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নাহিদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার অঙ্কন পাল।
গত ৩ নভেম্বর রাজবাড়ী জেলার নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ এর এক প্রজ্ঞাপনে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাকে রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান-২ এ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আবদুল গণি। গত ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন গণি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শহীদ আবদুল গণি (৪৫) রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার আবদুল মজিদ শেখের ছেলে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী লাকি আক্তার, ২০ বছর বয়সী ছেলে আলামিন শেখ ও ছয় বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৪
এসএম