লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় মেঘনা নদীতে নৌপুলিশের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে আমির হোসেন (৩০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এসময় আহত হয়েছেন নৌপুলিশের পাঁচ সদস্য, একজন স্পিডবোট চালক ও ১০ জেলে।
শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। আমিরের বাড়ি ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামে।
আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামের বাসিন্দা।
জাটকা রক্ষায় মার্চ ও এপ্রিল, দুই মাস দেশের ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের সময় নৌপুলিশের সঙ্গে জেলেদের এ সংঘর্ষ হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, আহত মোট ১৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, নৌপুলিশের মজুচৌধুরীর হাটের সদস্যরা শনিবার রাত ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন বিরোধী অভিযানে যায়। এসময় কমলনগরের মতিরহাটের অদূরে নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করছিলেন। নৌপুলিশ সেখানে গেলে জেলেরা একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। জেলেরা সাতটি নৌকায় ছিলেন। জেলেরা পুলিশের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তিন রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও পুলিশের স্পিডবোটের চালক আহত হন। অভিযানে একটি নৌকায় থাকা ১১ জেলেকে আহত অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আহত জেলেদের মধ্যে আমিরের অবস্থা গুরুতর ছিল। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহত আমিরকে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থঅয় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আটক জেলেদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
গুলিতে জেলের মৃত্যু হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এসআই