ঢাকা: নগরীর বড় সমস্যা যানজট। তবে দৈনন্দিন এই যানজটে প্রতিনিয়ত আটকে থেকে নগরবাসী অস্বস্তির জীবনযাপন পার করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তারা বলছেন, প্রতিদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়েই সড়কে যানজটে পড়তে হয়। সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সড়কের যানজট এমন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে হাতে সময় নিয়ে বের হলেও সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না।
দিনের অনেকটা সময় এই যানজটের কারণেই নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও গরমে এই তীব্র যানজটে আটকা পড়ে থেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বলতা চলে আসে।
শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার (১০ এপ্রিল) সপ্তাহের প্রথম দিন। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কগুলোতে এদিন যানবাহন ও যাত্রী এবং পথচারীর সংখ্যা বেশি থাকে তীব্র যানজট দেখা যায়। এদিকে সড়কে চলমান রয়েছে সড়ক উন্নয়নের বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজও। সব মিলিয়ে সড়কের যানজটের ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরাও যানজট নিরসনে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সড়কে তাদের দায়িত্বপালনে নিয়োজিত হন। তবুও সড়কে যানবাহনের যানজট অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েই চলছে।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা বলছেন, সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সেই তুলনায় রাস্তা নেই। এদিকে অনেক সড়কে সংস্থাপন ও মেট্রোরেল ও ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের কাজও চলছে। যানবাহন বাড়ার মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল সংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে। এদিকে গণপরিবহন চালকরা সড়কে নিয়ম অনুযায়ী চলাচল না করা সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও গুলশান, বনানী ও বারিধারা, ধানমন্ডি মিরপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশেই যানবাহন পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। এতেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর ২, ১০, ১৪, ভাসানটেক, পল্লবী আগারগাঁও, শ্যামলী, বনানী-কাকলী, মহাখালী, সাতরাস্তা, রামপুরা, মালিবাগ, কারওয়ানবাজার, পান্থপথ, উত্তরা এলাকায় সকাল থেকেই তীব্র যানজটের দেখা যায়। এসব পয়েন্টে যানজট ছাড়লেও আবার জটলা তৈরি হতে দেখা যায়।
মিরপুর ১৪ থেকে কচুক্ষেত চেকপোস্ট/কাফরুল এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অসহনীয় যানজট দেখা যায়। এ পথে চলাচলকারী পথচারী সামিয়া খান বাংলানিউজকে বলেন, এই সড়কে একদিকে প্রচণ্ড যানজট। অন্যদিকে সড়কের পাশে ফুটপাতে বিভিন্ন হকার ব্যবসায়ীদের দখলে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাত্রাতিরিক্ত যানজট লেগে যায়।
এদিকে বলাকা পরিবহনের চালক নজরুল বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র দুই সিঙ্গেলও (ট্রিপ) চালাতে পারিনি। রাস্তায় অনেক যানজট। আর মানুষ তো পারলে গাড়ির সামনে দিয়াই রাস্তা পার হয়।
সব মিলিয়ে সড়কে যানজটে নাকাল নগরবাসী। সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে চলাচলের জন্য যানজট নিরসনের দাবি জানিয়েছে পরিবহন চালক ও যাত্রী এবং পথচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এসজেএ/আরআইএস