ঢাকা: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানির সমতল দ্রুত বাড়ার আভাস রয়েছে। হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হতে পারে।
চলতি মৌসুমের শুরুতেই এক দফা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাওরের অনেক এলাকার ফসল। সেই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করলে পরিস্থিতি নাজুক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইএতামধ্যে বাঁধ রক্ষার ব্যবস্থা নিতেও দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের কতিপয় স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তীতে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে দেশের অভ্যন্তরেও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এই অব্যাহত থাকবে। আবাহওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিমদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এই অবস্থায় বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় (১০-১৫) কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ