বান্দরবান: বান্দরবানে শুরু হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব সাংগ্রাইং। উৎসবকে ঘিরে বান্দরবান পার্বত্য জেলার ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায় ও বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রতিবছরই পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত মারমা সম্প্রদায়ের জনসাধারণ উদযাপন করে সাংগ্রাইং। প্রতিবছরের ১৩ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে কয়েক দিনব্যাপী পার্বত্য এলাকায় চলে এ উৎসবে আমেজ।
এদিকে প্রতিবছরের মতো মারমাদের সাংগ্রাইং উৎসবকে ঘিরে সকালে বান্দরবান সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বান্দরবান রাজার মাঠ থেকে বের করা হয় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি বান্দরবানের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। এসময় ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায় ও বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। র্যালিতে অংশ নেয় মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরা, চাকসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালি জনসাধারণ।
এদিকে করোনার কারণে গত ২ বছর বান্দরবানে বর্ষবরণের কোনো আয়োজন করতে না পারলেও এবার জাঁকজমক আয়োজনে উৎসব করতে পারায় খুশি সবাই।
সাংগ্রাই র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটে আয়োজন করা হয় এক বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা। আর এসময় বিভিন্ন পাড়া ও গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা উপস্থিত থেকে এই উৎসবের আয়োজনে সামিল হয়। এসময় অনুষ্ঠানে বয়োজ্যেষ্ঠদের বরণ করে নেয় তরুণ-তরুণীরা। আর এরপরই তাদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রদান করা হয় নানা রকম দানীয় বস্তু।
আগামী ১৪ এপিল ভোরে মিনি ম্যারাথন দৌঁড় আর বিকেলে পবিত্র বুদ্ধ মূর্তি স্মান, ১৫ এপিল বিকেলে মৈত্রি পানি বর্ষণ, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসবের মাধ্যমে বান্দরবানে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এই সাংগ্রাই উৎসবের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এনটি