খাগড়াছড়ি: পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন গোষ্ঠীসমূহের প্রধানতম সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব বৈসাবির আনন্দে ভাসছে পাহাড়ি জনপদ। আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে মারমাদের সাংগ্রাইং শুরু।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন পিএসসি, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, মহা সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক উচিং মং মারমা প্রমুখ।
এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, শুধুমাত্র বৈসাবি নামকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। কারণ বৈসাবি দিয়ে তিনটি সম্প্রদায়ের উৎসবকে বোঝানো হয়। কিন্তু পাহাড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২টি সম্প্রদায় রয়েছে। যারা কিনা ভিন্ন ভিন্ন নামে উৎসব পালন করে থাকে। আমরা পাহাড়ি-বাঙালি সব সম্প্রদায় এক হয়ে উৎসব পালন করতে চাই।
তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রেখে বসবাস করছি। তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। পাহাড়ের বিরাজমান পরিস্থিতি যারা ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
এ সময় কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। মারমারা নেচে গেয়ে শহরকে উৎসবমুখর করে তুলেন। শোভযাত্রাটি পুনরায় বটতলায় ফিরে এসে সাংগ্রাই এর প্রধানতম আকর্ষণ মৈত্রীময় জলকেলিতে অংশ নেন।
আজ চাকমা সম্প্রদায় মূল বিজু, ত্রিপুরারা হারি বৈসু উৎসব পালন করছে। আগামীকাল থেকে মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এডি/কেএআর