নীলফামারী: ঈদ যাত্রাকে সামনে রেখে রেলকোচ মেরামতে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫০টি কোচ মেরামতের কথা থাকলেও মেরামত হয়েছে আরও বেশি ১০টি কোচ।
রেলওয়ে সূত্রমতে, হস্তান্তর হওয়া ওই কোচ দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী পরিবহনের জন্য ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-পার্বতীপুর রুটে দুটি বিশেষ ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই ট্রেন দুটিতে ২৪টি কোচ সংযুক্ত করা হবে। ট্রেন দুটি ঈদের চারদিন আগে থেকে চলাচল শুরু করবে। বাকি রেলকোচ জুড়ে দেওয়া হবে অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেনে।
একই সূত্রমতে, এবার রেলপথে ঢাকা থেকে অন্যান্য গন্তবে অধিক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যাতে কিছুটা স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ভ্রমণের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন সাধারণ মানুষরা। এ অবস্থায় বাংলাদেশ রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি, আর এস) মঞ্জুর-উল আলম চৌধুরী গত ১৭ এপ্রিল সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন। তিনি ওই সময় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কোচ মেরামতের তাগিদ দেন কারখানা কর্তৃপক্ষকে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি, আর এস) মঞ্জুর-উল আলম চৌধুরীর সঙ্গে।
তিনি বলেন, আমরা রেলখাতে যাত্রী সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ৬০টি অতিরিক্ত কোচ সংযুক্ত হচ্ছে। যা মেরামত হয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্বেও সৈয়দপুর রেল কারখানার বিশাল কর্মযজ্ঞকে অভিনন্দন জানাচ্ছি শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রকৌশলীদের।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান জানান, এই ঈদে যাত্রী সেবায় রেল কারখানা সামান্যতম অবদান রাখতে পারছে এজন্য গৌরববোধ করছি আমরা।
কারখানার সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের জনবল রয়েছে যান্ত্রীক শাখায় ২ হাজার ৮৫৯ জনের স্থলে রয়েছে মাত্র ৬৩২ জন এবং বৈদ্যুতিক শাখায় ৩৩৭ জনের স্থলে মাত্র ১৪৮ জন। কেবলমাত্র ২৫ ভাগ জনবল নিয়ে চলছে এ কারখানার বিশাল কর্মযজ্ঞ।
এসময় তিনি কারখানায় জনবল নিয়োগে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২২
আরএ