সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, পৌরসভায় কাজী বিরাজ হোসেন নামে অস্থায়ী এক কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন। কিন্তু তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। এছাড়া কর্মচারীদের অহেতুক হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কর্মচারীদের সেইসব অভিযোগ আমি (মেয়র) স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাই।
পাশাপাশি অভিযোগের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান খান বাপী বলেন, বিনা নোটিশে আমাকেসহ সাতজন কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করেছেন প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদের পৌরসভা চত্বরে দেখলে গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস বলেন, পৌরসভার মেয়র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। তবে সেটির তদন্তের নির্দেশনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার চিঠি পেয়েছি। অচিরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
২০২০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেন সেখানকার তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দীন। পরে বিভাগীয় শাস্তিস্বরূপ তার বেতনক্রম ষষ্ঠ থেকে সপ্তমে নামিয়ে আনা হয়।
পরে তাকে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে পদায়ন করা হয়। পদায়নের পর থেকেই ঘুষ বাণিজ্যের কারণে অধস্তন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন নাজিম উদ্দিন। মূলত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ত্রাস ছড়াচ্ছেন এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২২
এসআই